সাদুল্লাপুর উপজেলার পূর্বে গাইবান্ধা সদর, দক্ষিণে পলাশবাড়ী এবং পশ্চিমে পীরগঞ্জ বেষ্ঠিত ১৯১৩ সালে সাদুল্লাপুর উপজেলা গঠিত হয়। ১১টি ইউনিয়ন ও ১৬৬টি মৌজা নিয়ে গঠিত উপজেলার আয়তন ২৩০.১২ বর্গ কিলোমিটার । গাইবান্ধা শহর হতে ১১ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত । এই উপজেলা উত্তরে সুন্দরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত । এ উপজেলাটি প্রায় ২৫ ডিগ্রী ১৭ ফুট ও ২৫ ডিগ্রী ৩১ ফুট উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯ ডিগ্রী ২০ ফুট ও ৮৯ ডিগ্রী ৩২ ফুট পুর্ব দ্রাঘিমাংশর মধ্যে অবস্থিত । ঘাঘট নদী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবহমান।
কথিত আছে বহুপুর্বে এই এলাকা জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল । হিন্দু রাজা ও জমিদারদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। এক সময় সাইদুল্লাহ নামে এক ধর্মীয় সাধক এই এলাকায় এসে ধর্ম প্রচারের কাজ শুরু করেন । তার নামানুসারে উপজেলার নাম রাখা হয় সাদুল্লাপুর । সাদুল্লাপুরের ৮৫% মুসলমান ও অবশিষ্ট হিন্দু ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।জনসংখ্যার ঘনত্ব ১১৬৭ প্রতি বর্গ কিলোমিটার ,এলাকার ৮০% লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল । মানুষরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত । বহুপূর্ব হতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবহনকারী এ উপজেলা সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। শিক্ষার দিক দিয়ে ও সাদুল্লাপুর উপজেলা পিছিয়েনেই । শিক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় লোকদের উৎসাহে ও পৃষ্ঠপোষকতায় বেশ কতকগুলি চিত্ত বিনোদনমূলক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে । উপজেলার শিক্ষার উৎকর্ষ বিধানে প্রায় ১১ টি মহাবিদ্যালয়, ৬১ টি হাইস্কুল, ১৯৯ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফাজিল মাদ্রাসা ০১টি ৩৩টি দাখিল মাদ্রাসা এবং ৬৬ টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে । শিক্ষার হার ৪৬% । উপজেলার মধ্যে প্রায় ৬ কি.মি. রেলপথ রয়েছে । নলডাঙ্গা রেল স্টেশন প্রাচীন ঐতিহ্যের জন্য উত্তরবঙ্গে সুপরিচিত।মসজিদ ৪৩৭টি,মন্দির ৩২টি,হাসপাতাল ০১টি, উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ০৩টি,আশ্রায়ন০২টি(১৫০টি পরিবার),গুচ্ছগ্রাম ১১টি (৪২৯পরিবার),জলমহল ১৪টি,প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠান ১৭টিি,এতিমখানা ০৬টি,ডাকবাংলা ০১টি,হাটবাজার ১৯টি,তফশীলি ব্যাংক১০টি,হিমাগার ০৩টি,বূমি অফিস ০৯টি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস